নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরান থেকে গোপনে জ্বালানি তেল আমদানির অভিযোগে ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। যদিও প্রতিষ্ঠানটি এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৌতম আদানির মালিকানাধীন এই গ্রুপ ইরান থেকে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) আমদানিতে জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, গালফ অঞ্চল থেকে ভারতের মুন্দ্রা বন্দরে যাওয়া কিছু ট্যাংকারের গতিবিধি সন্দেহজনক। নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সেগুলোর যাত্রাপথ ও তথ্য গোপনের কৌশল অনুসরণ করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
তবে আদানি গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানায়, এই অভিযোগ “ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” তাদের দাবি, তারা কোনোভাবেই ইরান থেকে পণ্য আমদানি করেনি, এমনকি ইরানের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যিক সম্পর্কও নেই। তাদের বন্দরে ইরান থেকে কোনো কার্গো হ্যান্ডলিং হয়নি বলেও দাবি করা হয়।
গ্রুপটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এলপিজি ব্যবসা তাদের মোট আয়ের মাত্র ১.৪৬ শতাংশ। এ ছাড়া যেসব চালানের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পরিচালিত এবং তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়া স্বাভাবিক বাণিজ্যিক লেনদেন।
এর আগেও, ২০২৩ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে গৌতম আদানি ও তার ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেন ও বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। তখনও আদানি গ্রুপ সব অভিযোগ অস্বীকার করে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন এ তদন্ত আদানি গ্রুপের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।